ভারতে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উৎযাপন শেষে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। মাত্র দুই দিন আগে যেখানে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা নেমেছিলো ৩৬ হাজারে। গত ২৪ ঘন্টায় সেই সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫০ হাজারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুর্গাপুজোসহ উৎসবে জনসমাগমের জেরেই করোনা সংক্রমণের এই বৃদ্ধি ঘটেছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লক্ষ ৪০ হাজার ২০৩ জন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও নিয়মিতভাবে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। ভারতে সুস্থতার হার ৯০.৯৯ শতাংশ।
মোট সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। গোটা ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮৭ জন। ভারতে সুস্থতার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের হারও উর্ধমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৬৪ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণের সঙ্গে সমান তালে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৫১৭ জনের। যার ফল মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫২৭ জনে। এদিকে ভারতে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন, প্রত্যেক ভারতীয়ই করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। করোনার ভ্যাকসিন সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য একটি ন্যাশানাল এক্সপার্ট গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মোদি বলেন, প্রাথমিকভাবে করোনায় বিপদজনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে কেউই বাদ যাবেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটাও জানিয়েছেন, করোনা ভ্যাকসিন এখনও তৈরি হয়নি। গবেষনা চলছে।
এদিকে ভারতে করোনা ভ্যাকসিন গবেষণার অন্যতম সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট দাবি করেছে, করোনা ভ্যাকসিন আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে।