নিবন্ধন না থাকলেও কেন্দ্রে গেলে টিকা পাওয়া যাবে

‘করোনার প্রথম টিকাগুলো হতে পারে সমস্যা জনিত ।।

আন্তর্জাতিক

বৃটেনে টিকা বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেট বিংহ্যাম বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথমে যেসব টিকা আসবে সেগুলো হতে পারে ‘ইমপার্ফেক্ট’ বা ত্রুটিপূর্ণ। এ ছাড়া এসব টিকা সংক্রমণও হয়তো তেমন রোধ করতে পারবে না। সারাবিশ্বের জন্য একটি কার্যকর টিকা পাওয়ার জন্য তার এ আহ্বানকে দেখা হচ্ছে সতর্কতা হিসেবে। অর্থাৎ কোনো টিকা অনুমোদন দিলে তা যথাযথ যাচাই বাছাইয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, প্রথম দিকে যেসব টিকা আসবে তা হয়তো সবার ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ করবে না। দ্য ল্যানচেটে এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, এত দ্রুততায় প্রত্যাশিত একটি ওষুধ (টিকা) পাওয়ার ইতিহাস নেই। টিকা হলো একটি ব্যাপক ভিত্তিক ব্যবস্থা। এটাকে দেখা হয় একটি মহামারিকে কৌশলে বিদায় দেয়ার একটিমাত্র সত্যিকার পন্থা হিসেবে।এমনই এক মহামারি এখন সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ। কেট বিংহ্যাম করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে অতিমাত্রায় আশাবাদী হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেকোনো টিকা সবার জন্য কার্যকর নাও হতে পারে। তিনি লিখেছেন, আমরা এখনও জানি না যে, কখন সবার জন্য ব্যবহারের উপযোগী একটি টিকা পাবো। আত্মতুষ্টি এবং অতিরিক্ত আশাবাদের বিরুদ্ধে এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। তার ভাষায়, প্রথম প্রজন্মের টিকাগুলি বা প্রথমেই যেসব টিকা আসবে তা সম্ভবত একেবারে ত্রুটিমুক্ত হবে না। আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে এ জন্য যে, এসব টিকা সংক্রমণ থামাতে পারবে না। আর তো লক্ষণ কমিয়ে দেয়া! ফলে এটা সবার জন্য কার্যকর নাও হতে পারে।
ল্যানচেটে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি আরো লিখেছেন, বৃটেন নিরাপদ ও কার্যকর একটি টিকা হাতে পাক এ জন্য তারা ভিন্ন ফর্মেটে বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও তৈরি করেছেন। এতে অনেকের অথবা সম্ভবত সবার এই টিকা পাওয়া ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে বলে মনে করা হয়। বৃটেনে করোনা ভাইরাসের কার্যকর একটি উপায় বের করতে একটি মানসম্মত গবেষণার পর্যালোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে মিস বিংহ্যামের এই নিবন্ধকে। ওদিকে দ্য ল্যানচেট ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোডের গবেষণা। এতে তারা বলেছেন, বিভিন্ন রকম করোনা ভাইরাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হবে এমন একটি টিকা বেছে নেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বৃটিশ সরকারের প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স সৃষ্টি করেছেন ভ্যাক্সিন টাস্কফোর্স। ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস, এনার্জি এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্র্র্যাটেজির অধীনে ২০২০ সালের মে মাসে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর প্রধান মিস বিংহ্যাম সরাসরি রিপোর্ট পেশ করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ড. সুসানে হগসন এই রিভিউয়ের প্রধান লেখক। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি একক টিকা বিজয়ী হবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কমপক্ষে ২০০ টিকা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে বিশ্বে। এর মধ্যে ৪৪টির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে। তার মধ্যে আবার ৯টি টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে হাজার হাজার মানুষের ওপর তৃতীয় পর্যাযে প্রয়োগ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *