অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই ।।

বিনোদন

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্রে আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে পূর্ণাঙ্গ নায়িকা হয়ে কাজ করছেন এই প্রথম। এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন প্রায় হাফডজন চলচ্চিত্রে।

সবার কাছে কৃতজ্ঞ…

প্রথম ছবিতেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের মতো ঐতিহাসিক একটি চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য বড় পাওয়া। শামীম আহমেদ রনির ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবিতে আমাকে এই চরিত্রে দেখা যাবে। আদৌ এই চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারব কিনা; শুরুতে এমন একটি ভয় কাজ করছিল। তবে পরিচালক ও প্রযোজক আমার উপর আস্থা রেখেছেন। পাশাপাশি আমার বাবা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তিনিও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে বাবা সংলাপগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া পুরোইউনিট আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

নিয়মিতই অভিনয় করব… শিগগিরই আরও দুটি সিনেমার কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে একটি দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘তুমি আছে তুমি নেই’, আরেকটি কাজী হায়াৎ’র পরিচালনায় ‘যোগ্য সন্তান’। ‘যোগ্য সন্তান’ সিনেমায় আমার বিপরীতে রয়েছেন শান্ত খান। এছাড়া আরও পাঁচ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিতই অভিনয় করব।

এড়িয়ে চলতে চাই… আমি নায়িকা নয়, একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। তাই শুরু থেকেই চেষ্টা করছি, যে ছবিতেই অভিনয় করব, সেখানে যেন আমার অভিনয় করার সুযোগ থাকে। বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই। আর ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ কম থাকবে, সেসব ছবি এড়িয়ে চলতে চাই।

বাবাই সব সিদ্ধান্ত নেন…

সিনেমার প্রস্তাব প্রথমে বাবার কাছে আসে। এরপর বাবা ভেবে দেখেন। সত্যি বলতে, মা মারা যাওয়ার পর বাবাই আমার সব সিদ্ধান্ত নেন। তবে তার আগে বিষয়টি আমাকে জানান। এরপর বাবা-মেয়ে দু’জনে বসে সিদ্ধান্ত নিই। তারপর ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হই। বাবা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না।

সবটুকুই মনে আছে…

ছোটবেলার অভিনয়ের কথা একটুও ভুলিনি। সবটুকুই মনে আছে। সে সময়ের কাজগুলো মাঝে মধ্যে দেখা হয়। যতই দেখি ততই ভালো লাগে। তখন দর্শক আমাকে যেভাবে পছন্দ করেছেন, আশা করছি এখনো করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *