মাউশির মহাপরিচালক, বরিশাল বোর্ড চেয়ারম্যানসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ

যথাযথ কারণ ছাড়া বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এমএলএসএসকে বরখাস্ত করায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল ইসলাম ২৩ জনকে এবং এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ সরখেল ২৪ জনকে বিবাদী করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।

 

রবিবার উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে ওই মামলা দু’টি করেন গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল আলম ও এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডল।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান।

তিনি জানান, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উজিরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উজিরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অদিদফতরের উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, রূপালী ব্যাংক ভবানিপুর শাখার ম্যানেজার, উজিরপুর গুঠিয়া শাখার ম্যানেজার, অগ্রণী ব্যাংক বানারীপাড়া শাখার ম্যানেজার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আওরঙ্গজেব, শিক্ষক সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বিথীকা মন্ডল, অভিভাবক সদস্য মো. ইউসুফ আলী মোল্লা, মো. ছুরাত মোল্লা, মো. নাসির উদ্দিন খান, মো. নিজাম সরদার, শিরিন সরোয়ার, বিদ্যেৎসাহী সদস্য মো. আতাহার আলী হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক ম্যানেজিং কমিটিসহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এসএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মন্ডলের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৭ মে গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলে এসএলএসএস পদে যোগ দিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। কোনও কারণ ছাড়াই বিবাদীরা ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ৯/২০২০ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১ নম্বর বিবাদী বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাকরি বিধি ১৯৭৯ উপেক্ষা করে ২০২০ সনের ১৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ১ নম্বর বিবাদী সমীর কৃষ্ণ মন্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দিয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ অক্টোবর তাকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তাছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিজাম সরদার স্কুলের মালামাল কক্ষের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে যান।

প্রধান শিক্ষক মামলায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের মালামাল সংরক্ষিত রুমের চাবি নিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যালয়ের নোটিশ বই, রেজুলেশন বই, ক্যাশ বই, জব্দ করা ও নিয়ে যাওয়া হঠকারিতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এর প্রতিকার এবং স্বপদে বহাল থাকার দাবি জানানো হয় আদালতে। আদালত মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *