সংগীতে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি বয়ে আনলেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক জাহিদ বাশার পঙ্কজ। আন্তর্জাতিক এক থিম সং প্রতিযোগিতায় জাহিদ বাশার পঙ্কজের ‘সেল্ফলেস লাভ’ গানটি দশম স্থান অর্জন করেছে।
সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটিতে সকাল ১১টায় ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটি’র (আইডাব্লিউএস) বাংলাদেশ শাখার একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই গৌরবময় অর্জনের সংবাদটি জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটি’ আয়োজিত থিম সং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ১০০টি দেশের প্রতিযোগীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিযোগিতায় হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া, বলিভিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক-যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ১০ জনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইকুয়েডর, ম্যাক্সিকো, রাশিয়া, ইউক্রেন, বুলগেরিয়া, হংকং, বলিভিয়া, পোল্যান্ড, মোনাকো-চীন, জাপান, তুরস্ক, কোস্টারিকা, ফিলিপাইন, হন্ডুরাস, কসোভো, আলবেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, আজারবাইজান, মিসর, সুদান, বেলারুশ, তাতারিস্তান এবং বাংলাদেশের গুণীজনদের নিয়ে গঠিত হয় ৩২ সদস্যের জুরি বোর্ড। বোর্ডের বিচারে দশম স্থান অর্জন করে জাহিদ বাশার পঙ্কজের ‘সেল্ফলেস লাভ’ গানটি। গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পঙ্কজ নিজেই।
বাংলাদেশ থেকে সানি জুবায়ের ও আবিদ আনোয়ার জুরি প্যানেলের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবশ্য বিচারকদের নিজ দেশের প্রতিযোগীদের ভোট দেওয়ার নিয়ম নেই এই প্রতিযোগিতায়।
এ অর্জন প্রসঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তায় ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কালার সোসাইটির মিউজিক কো-অর্ডিনেটর রাসিম ডুরান, কান্ট্রি হেড বাংলাদেশ কাওসার হোসেন মাসুদ, ইভেন্টস কো-অর্ডিনেটর ঝুমি রহমান ও জুরি প্যানেলের সম্মানিত সদস্য সানি জুবায়ের অভিনন্দন জানান জাহিদ বাশার পঙ্কজকে।
এ প্রসঙ্গে উচ্ছ্বসিত জাহিদ বাশার পঙ্কজ বলেন, ‘এ অর্জন আমার কাছে অনেক আনন্দের। কৃতজ্ঞতা মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আইডাব্লিউএসের প্রেসিডেন্ট আতানুর দোগানকে এবং পৃথিবীর ১০০টি দেশে আইডাব্লিউএসের ১১০টি শাখার সব সদস্যকে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সম্মানিত জুরি বোর্ডকে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার ভক্ত, পরিবার, বন্ধু এবং দেশের সংগীতাঙ্গনের সবার প্রতি।
জাহিদ বাশার পঙ্কজ প্রায় দুই যুগ ধরে দেশের সংগীতাঙ্গনে একজন সফল সুরকার এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর বহু কাজ বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত ব্যবসা সফল।
সংগীতে মানাম আহমেদের কাছে হাতেখড়ি, সাউন্ড ডিজাইন শিখেছেন পান্না আজম এবং আজম বাবুর কাছে। কী-বোর্ডিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যান্ড অর্ক এবং দলছুট’-এ। এ ছাড়া কাজ করেছেন বিজ্ঞাপন, চলচিত্র, ডকুমেন্টারি, রেডিও, টেলিভিশনসহ সংগীতের সব মাধ্যমেই।