পূজা মানেই উৎসব, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি; সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের বাধাহীন এক উচ্ছ্বাস। বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপূজা। এবারের পূজায় আপনার পছন্দের তারকারা কীভাবেতারকাদের পূজা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ কথা বলেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। ২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান লাভ করে মিডিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করেন ঊর্মিলা।
ছোটবেলায় পূজা
আমার বাবা যেহেতু আর্মি অফিসার ছিলেন, যখন যেখানে পোস্টিং থাকত, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আশপাশে পূজা দেখা হতো। বাবার অনেক সময় চট্টগ্রামে পোস্টিং ছিল, সেখানে অনেক বেশি মণ্ডপ হয়, অনেক বেশি মানুষ আসে, অনেক বড় করে পূজার আয়োজন হয়। তখন পরিবারের সবাই একসঙ্গে ছিল, সবাই মিলে ঘুরতে যেতাম।
তারকা হওয়ার পর পূজা
এখনকার পূজায় ঘোরাঘুরি একটু কঠিন। যেটা একই সঙ্গে ভালো লাগে, আবার খারাপও লাগে। যখন বাবাকে নিয়ে বের হতাম, তখন একটু খারাপ লাগত। মনে হতো, বাবাকে একটু সময় দিই, তাঁর সঙ্গে বসি। আবার এনজয়ও করি; যখন মানুষ আসে, কথা বলে; তখন ভালো লাগে। সময় পার করেন, তাঁদের পূজার রুটিন কি আপনার-আমার মতোই? তা জানার চেষ্টা করেছে এনটিভি অনলাইন।দুই বছর আগে পূজার মধ্যে বাবা মারা গেল। এ জন্য পূজা আমার জন্য কষ্টের একটা ফিলিংস। পূজার সপ্তমী দিনে আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। এ জন্য পূজার ফিলিংস অনেক আগেই ভুলে গেছি। এবারের পূজায় বাসাতেই থাকব, পূজার মধ্যে কাজও (শুটিং) আছে। যেখানে লোকসমাগম কম, মাকে নিয়ে সেখানে একটু বের হব।
পূজার কেনাকাটা
নিজের জন্য আসলে কেনাকাটা হয়ই না। গিফট পাই বেশি। ভাই, ভাইয়ের বউ, মা—এরাই বেশি গিফট দেয়। আমি গিফট কিনেছি মায়ের জন্য। আর যাঁরা আমার সঙ্গে খুবই কানেক্টেড, তাঁদের জন্য… মানে আমার ফ্যামিলির ক্রাইসিসের সময় পাশে ছিলেন, আমি চেষ্টা করেছি সবার জন্য কিছু কিনতে।
পূজায় সেরা উপহার
আমার বাবা যে পূজায় মারা গেল, তার পাঁচ-ছয় দিন আগে শাড়ি কিনতে পাতরাইল তাঁতিবাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে একসঙ্গে ২৫টি শাড়ি কিনে দিয়েছিল। সেটা আমাকে দেওয়া পাপার শেষ গিফট ছিল।
ঘোরাঘুরি
বারিধারা ডিওএইচএস মণ্ডপ, জগন্নাথ হল আর রামকৃষ্ণ মিশন।
ঘোরার সঙ্গী
মায়ের সঙ্গে যাব আর দশমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে বের হতে পারি।
মজার স্মৃতি
দুর্গাপূজার সঙ্গে আমি অনেক বেশি কানেক্টেড। তার কারণ, প্রতিবার দুর্গাপূজার সময় কোনো না কোনোভাবে আমার দুর্গা সাজা হয়। এটা নাটক বা ফটোশুট যেকোনোভাবে হয়। প্রতিবার যখন ভাবি, এবার মনে হয় আর হবে না; শেষের দিকে সে বারও সাজতে হয়। এটা আমার ভালো লাগে। এবার চয়নিকা চৌধুরীর নির্মাণে আমার একটা ভালো নাটক যাচ্ছে।