পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাল হচ্ছে

বাংলাদেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৮টি দুর্গম পাড়াকেন্দ্রকে প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে আজ সোমবার একটি সমঝোতা চুএ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোস্তাফা জব্বার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য ডিজিটাল পাড়াকেন্দ্রকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি নোভেল ভেঞ্চার। এটি পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল করার বর্তমান সরকারের এক মহতি উদ্যোগ। আমাদের মানবসম্পদকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না। এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষা অপরিহার্য। পাড়াকেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করতে পারলে আমরা বৈষম্যহীন ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

মন্ত্রী ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট একটি অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে বলেন, পাড়াকেন্দ্র ডিজিটাল করার কর্মসূচি গোটা দেশের জন্য আমূল রূপান্তরের যাত্রা। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে বেগবান করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ডিজিটাল করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ডিজিটাল করার লক্ষ্যে খুব শিগগিরই এ ধরনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সবার সহযোগিতা থাকলে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করা কঠিন হবে না। ডিজিটাল শিক্ষা পরিচালনার জন্য ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সামান্য প্রশিক্ষণ পেলে ডিজিটাল ক্লাস পরিচালনা সম্ভব।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২০০৭ সালে পাড়াকেন্দ্র দেখে তাকে ডিজিটাল করার বিষয় নিয়ে লিখেছিলেন। মন্ত্রী রাঙামাটিতে ২০০১ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল চালু করার পাশাপাশি চাকমা সফটওয়্যার তৈরির স্মৃতিকথাও স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তফা কামাল, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহসিনুল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বদিউর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বক্তারা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই কর্মসূচিকে একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে।ক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল প্লাটফর্মে এ চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *